খুরুশকুলে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হামলায় অফিস ভাংচুর, লুটপাট, গুলি বর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলের টাইমবাজার এলাকায় জিয়াউল হক সিকদারের অফিস ভাংচুর, হামলা ও গুলি বর্ষণ করেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এ বিষয়ে তার বড়ভাই সোলায়মান বাদশা বাদি হয়ে সন্ত্রাসী মো. আলমকে প্রধান আসামী করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামী হলেন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও পেশাদার ছিনতাইকারী। তারা এলাকায় কাউকে পরোয়া করে না। তাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একাধিক মামলাও রয়েছে। ২১ জুন (শুক্রবার) বিকেল ৫ টার দিকে খুরুশকুল মেহেদী পাড়া এলাকার আনর আলীর ছেলে মো. আলম (৩২), রমজান আলীর ছেলে মো. ঈসমাইল (২৮), মো. বদির ছেলে মো. আকবর (২৫), আনর আলীর ছেলে বদি আলম বদি (২৯), মো. আলমের ছেলে মো. রাসেল (২৪), সিরাজুল হকের ছেলে মো. মিজান (২৪), মৃত সুলতানের ছেলে মিজান (২৮) ও মো. ফারুকের ছেলে মো. বাপ্পি (২৭) সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা টাইমবাজার উত্তর মাথাস্থ ডিস ক্যাবল ব্যবসার অফিসের সামনে এসে জিয়াবুল সিকদারের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে শক্তি মহড়া প্রদর্শন পূর্বক হত্যা করার উদ্দেশ্যে খোঁজ খবর নেয়।

পরে অফিসে কাউকে না পেয়ে অবৈধ অস্ত্র, ধারালো কিরিচ, রাম দা ও হাতুড়ি নিয়ে তার ডিস ক্যাবল ব্যবসার অফিসে হামলা ও ভাংচুর করে। তখন সন্ত্রাসী ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে জনেমনে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ত্রাস সৃষ্টি করে। এ সময় অফিসের ক্যাশে থাকা নগদ ২০ বিশ হাজার লুট করে নিয়ে যায়। অফিস ভাংচুরে আনুমানিক ১ লক্ষ বিশ হাজার টাকা ক্ষতি সাধিত হয়। ওই সময় খুরুশকুলের একমাত্র সড়কে গাড়ী চলাচল বন্ধ হয়। এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানাকে অবগত করিলে এসআই রাজিব চন্দ্র পোদ্দারের নেতৃত্বে টহলরত পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক রাজিব চন্দ্র পোদ্দার বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষিনক ফোর্সসহ ঘটনারস্থলে যায়। ওই সময় হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।